Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদের অর্জনসমূহ

বর্তমান সরকারের অর্জন

 

১।  অর্থনৈতিক সামাজিক খাতে অর্জনঃ

দেশের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য সরকার বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্ধিত চাপের সাথে খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি উৎপাদনের বিরূপ প্রভাব সত্ত্বেও খাদ্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্যের অস্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের কারণে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আপদকালীন মজুদ সুদৃঢ় করা হয়েছে। স্বল্প আয়ের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং খাদ্যশস্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রমের আওতায় ওএমএস, সুলভ মূল্য (মহানগর ও জেলা), সুলভ মূল (ইউনিয়ন), সুলভ মূল্য (কর্মচারী) এবং গার্মেন্টস খাতে খাদ্যশস্য বিতরণে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে খাদ্যশস্যের বাজার মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে এসেছে। আটার বাজার দর নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার আটা মিল হতে পেষণকৃত গমের ফলিত আটা ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করে বাজারে আটার সরবরাহ বৃদ্ধি পূর্বক মূল্য নিয়ন্ত্রণেও সক্ষম হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও দেশের কোথাও কোন প্রকার খাদ্য সংকট পরিলক্ষিত হয়নি।

২।  উন্নয়ন কর্মকান্ডঃ

বর্তমান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ কালে সরকারী পর্যায়ে খাদ্য শস্যের মোট ধারণ ক্ষমতা ছিল ১৪.০০ লাখ মেঃটন। দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধারণ ক্ষমতা পর্যাপ্ত না হওয়ায় ২০১৫ সালের মধ্যে ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ মেঃটনে এবং ২০২১ সালের মধ্যে ৩০ লাখ মেঃটনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরিকল্পণা বাস্তবায়নে ২০১৫ সনের মধ্যে ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ টনে উন্নীত করতে মোট ৭.৫ লাখ মেঃটন ধারণ ক্ষমতার বেশ কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যার বেশিরভাগ বাস্তবায়িত হওয়ায় ধারণ ক্ষমতা ১৯.০০ লাখ মেঃটনে উন্নীত হয়েছে। ইতোমধ্যে       বাস্তবায়িত এবং প্রায় বাস্তবায়িত প্রকল্প সমূহ নিম্নরুপঃ

ক। ১.৩৫ লক্ষ মেঃটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদাম নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পঃ এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ১৭০ টি খাদ্য গুদামের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত  

     হয়েছে। সারাদেশে ১.১০ লক্ষ মেঃটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।

খ। হালিশহর সিএসডি ক্যাম্পাসে ০.৮৪ লক্ষ মেঃটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পঃ এ প্রকল্পে ৪২টি প্যাকেজের আওতায়

    ৯১টি খাদ্য গুদামের (১০০০ মে.টন ধারণ ক্ষমতার ৭৭টি এবং ৫০০ মে.টন ধারণ ক্ষমতার ১৪টি) নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

গ। Construction of a Grain Silo of 50,000 M.T Capacity at Mongla Port with Ancillary Facilities শীর্ষক প্রকল্পঃ  এ

    প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাট জেলার মংলা উপ-জেলায় জয়মনিরঘোল নামক স্থানে ০.৫০ লক্ষ মেঃটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কনক্রিট গ্রেইন সাইলো

    নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে।

ঘ।সান্তাহার সাইলো ক্যাম্পাসে ২৫,০০০ মেঃটন ধারণ ক্ষমতার Multistoried Warehouseনির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পঃ এ প্রকল্পের    আওতায় সান্তাহার

     সাইলো, বগুড়া ক্যাম্পাসে ২৫,০০০ মেঃটন ধারণ ক্ষমতার অত্যাধুনিক মাল্টিষ্টোরিড ওয়ারহাউস নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। জাপানী Consultant এবং  

     Construction কোম্পানীর মাধ্যমে এটি নির্মিত হয়েছে।

ঙ।ঢাকা শহরের পোস্তগোলায় আধুনিক সরকারী ময়দা মিল নির্মাণ প্রকল্পঃ বাজারে আটার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে খাদ্য অধিদপ্তর খোলা বাজারে   

     আটা বিক্রির কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে পোস্তগোলায় একটি সরকারী আধুনিক ময়দা মিল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

চ। সারাদেশে ১.০৫ মেঃটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণ প্রকল্পঃ এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ১৫৮ টি খাদ্য গুদাম নির্মাণের উদ্যোগ

    গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ জুন/২০১৬ এর মধ্যে শেষ হবে মর্মে আশা করা যায়।

ছ। Bangladesh Modern Food Storage Facilities Project: বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ১০ লাখ মেঃটন

    ধারণ ক্ষমতার ১৪টি রাইস/গম সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে অতিসত্বর প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

জ।ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রতিশ্রুতি এই সরকার ঘোষণা করেছে তার আওতায় খাদ্যব্যবস্থাপনার কার্যক্রম কম্পিউটার নেটওয়ার্কের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে খাদ্য অধিদপ্তরে এডিবির সহায়তায় একটি পরীক্ষামূলক Softwareপ্রণয়ন করা হয়েছে। এই Softwareটি Virtual Private Network (VPN) এর মাধ্যমে টাংগাইল জেলার সকল সংস্থাপনা, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, ঢাকা, চট্টগ্রাম পোর্ট (সিএমএস), আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম সাইলো এবং খাদ্য অধিদপ্তর অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া খাদ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় আনার জন্য ইতিমধ্যে একটি পাইলট প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায়, সারাদেশে অবস্থিত খাদ্য অধিদপ্তরের স্থাপনাসমূহ এবং খাদ্য বিভাগের কার্যক্রম ডিজিটাইজ করার লক্ষ্যে এক্সপানসন অব পাবালিক ফুড ডিষ্ট্রিবিউশন সিষ্টেম’’ নামক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রচারেঃ  খাদ্য বিভাগ,দুপচাচিয়া, বগুড়া।